জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করে 'ওসি একাই আমাকে ৩ বার ধর্ষণ করে' Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করে ‘ওসি একাই আমাকে ৩ বার ধর্ষণ করে’

জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করে ‘ওসি একাই আমাকে ৩ বার ধর্ষণ করে’




অনলাইন ডেস্ক: খুলনার জিআরপি থানায় আটকে গৃহবধূকে পরপর তিনবার ধর্ষণ করেছেন জিআরপি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি পাঠান। ধর্ষণের সময় জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করেন ওসি।থানায় পুলিশের হাতে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূর দায়ের করা মামলায় এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ হলে গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দিয়েছেন ধর্ষকরা।

শুক্রবার রাতে (৯ আগস্ট) থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ উল্লেখ করেছেন, আটকের পর ডিউটি অফিসারের সহায়তায় আমার ওপর ব্যাপক নির্যাতন করেন ওসি ওসমান গনি পাঠান। ঘটনার দিন রাত দেড়টার দিকে আমাকে অপর একটি কক্ষে নিয়ে যান ডিউটি অফিসার। ওসি ওই কক্ষে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দরজা আটকে দেন।এরপর মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে পরপর তিনবার আমাকে ধর্ষণ করেন ওসি। ধর্ষণের সময় জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করেন ওসি। ওসির পর আমাকে ধর্ষণ করেন মুখে দাগওয়ালা ডিউটি অফিসার। এরপর বাকি তিনজন পুলিশ সদস্য আমাকে ধর্ষণ করেন। তারা সবাই ধর্ষণের সময় জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহার করেছেন।

মামলার এজাহারে গৃহবধূ আরও উল্লেখ করেছেন, ধর্ষণের সময় মারপিট করা হয়। পরদিন শনিবার পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।

পরে আইনজীবীর মাধ্যমে রোববার তাকে আদালতে আনা হয়। তখন আদালতে বিচারকের সামনে নেয়ার পর জিআরপি থানায় গণধর্ষণের বর্ণনা দেন তিনি। আদালতের বিচারক বক্তব্য শুনে ডাক্তারি পরীক্ষার নির্দেশ দেন।

সোমবার দুপুরে আমার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করার জন্য আদালত থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়ার পর শুক্রবার মামলা নেয় পুলিশ।

এরই মধ্যে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা তদন্তে পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম গত সোমবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। একই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্ত করছে পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত কমিটি।

ইতোমধ্যে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে গঠন করে দেয়া তদন্ত কমিটির প্রধান এসপি সেহেলা পারভীন ওই থানার পুলিশ সদস্য ও ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ এবং তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে এখনো কিছুই জানায়নি এ তদন্ত কমিটি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD